অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে লঞ্চ, বাড়বে ভাড়া

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২১, ১৪:০৬

সাহস ডেস্ক

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস-ট্রেনের মতই নৌযানেও বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (৩১ মার্চ) নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ভাড়া বৃদ্ধির পাশাশাশি নৌপরিবহন বৃদ্ধি করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

খালিদ মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেগুলো বিবেচনা করে আমরা যেন ঈদযাত্রার প্রস্তুতিটা নিতে পারি। সবাই সম্মত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের ঈদযাত্রা প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ফিরতির বিষয়টাও একইভাবে। সকলেই বিষয়টি উপলব্ধি করেছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীকাল থেকে নৌ ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে। এ বিষয়ে আজকে নৌযান মালিকদের সাথে বসে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত গাইডলাইন/স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাবতীয় নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে গেলে আমাদের যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে হয়। আমাদের গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। সে অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাতে চাই। লঞ্চ মালিক যারা আছেন তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে ব্যবসায়িক ক্ষতি পূরণ করে কতটুকু ভাড়া বৃদ্ধি করা যায় আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযাগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক-চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের পূর্বে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে, রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

এ সময় সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত এবং সদরঘাট টার্মিনাল ও লঞ্চসমূহ হকারমুক্ত রাখার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরাধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রত্যেক ঘাট এলাকায় যাত্রীদের জানমাল নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের (জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড ) সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টীম গঠন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত