অক্সিজেন সেবায় ‘বিপন্নের পাশে’, নাটোর

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৫

সাহস ডেস্ক

মহামারী করোনা ভাইরাস এর ডেল্টা ভেরিয়েন্টে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা দপ্তর যখন টালমাটাল, তখন উত্তরবঙ্গের ছোট্ট জেলা সদরে অবস্থিত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের চিত্রও ভিন্ন নয়। এখানে না আছে পর্যাপ্ত রুগীর শয্যা, না আছে আধুনিক পরীক্ষাগার,না আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ। যেখানে প্রতিদিন নতুন নতুন করোনা রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

ঠিক এমন সময় চিকিৎসা ও মানবসেবার ব্রত নিয়ে মাত্র হাতে গোনা নাটোরের সুশীল সমাজের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গত ২ জুন আত্মপ্রকাশ করে ‘বিপন্নের পাশে’, নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।  নাটোরের মানবিক হৃদয়ের ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তায় মাত্র দুটো সিলিন্ডার নিয়ে গড়ে তোলা হয় নাটোরের প্রথম বিনামূল্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ২৪ ঘন্টা অক্সিজেন সেবা কেন্দ্র। মাত্র একটি ফোন কলে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন। এজন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর।
 
বর্তমানে অক্সিজেন সংগঠনের অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৬ টা, এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে ১২ জন। পনের সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সভাপতি মীর আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন ও যগ্ম সদস্য সচিব দেবাশীষ রায়।

নাটোরের ভিক্টোরিয়ার পাবলিক লাইব্রেরিতে এ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় অবস্থিত। সেখান থেকেই অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সংগঠন থেকে প্রায় ১৫০ জনের অধিক রোগীকে অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে সংগঠনসূত্রে জানা গেছে। 

উক্ত সংগঠনের পনের সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রয়েছেন নাটোরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-মানবাধিকার সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশাজীবি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১. ভিক্টোরিয়ার পাবলিক লাইব্রেরি (নাটোর), ২.ইঙ্গিত থিয়েটার, ও ভোর হলো (নাটোর), ৩.রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলনি পরিষদ, (নাটোর) ৪.মানবাধিকার সংস্থাসহ (নাটোর) আরও অনেকে। 

সংগঠনের নিয়মিত সাপ্তাহিক কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য কাজ যেমন নাটোর শহর ও শহরতলীতে নিয়মিত করোনা সচেতনতামূলক লিফলেট, বিনামুল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যনিটাইজার বিতরণ চালু রয়েছে।

উল্লেখ্য, আধুনিক সদর হাসপাতাল নাটোর এ যখন অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় ঠিক তখনই ‘বিপন্নের পাশে’, অক্সিজেন নিয়ে হাজির রোগীদের সেবায়। সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবী দেবাশীষ রায় জানান,‘নানান প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। যেমন নাটোরে একটি মাত্র দোকান আছে যেখান থেকে আমরা সিলিন্ডারে অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে রিফিল করি কিন্তু সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে প্রায়শই তর্ক হয়। তারা আমাদেরকে অক্সিজেন রিফিল করতে দিতে চাননা। এভাবেই কষ্টকরে সংগঠনের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দূর্ভাগ্য, এগুলো দেখার কেউ নেই’।

 

সাহস২৪.কম/জিজি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত