লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৪ মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:১২

সাহস ডেস্ক

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় নৌযানটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নৌ আদালত।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই চার মালিককে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালতের বিচারক (স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) জয়নাব বেগম। নৌ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বেল্লাল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। এছাড়া অন্য আসামীরা হলেন লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।

ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না রাখার দায়ে ঢাকা ও বরগুনা রবিবার দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পর ঢাকায় নৌ আদালতে মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে নৌযানে পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইফ জ্যাকেটসহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না রাখাসহ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর চারটি ধারা লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার মামলা হওয়ায় আইন অনুযায়ী আজ রবিবারই অভিযান-১০ লঞ্চের ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন ও মাস্টার-চালকদের সনদ স্থগিত করা হবে বলে নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

মামলার বাদী অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান জানান, অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হন। এখনো ৫১ যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত