দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২২, ১৭:০৩

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর কোনো সমস্যা হবে না, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। তারা তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য আরও উন্নত জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরে পল্লী জনপদ এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়  ‘বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড)’-এর পল্লী উন্নয়নের জন্য নবনির্মিত দুটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

দক্ষিণাঞ্চল বরাবরই অবহেলিত, তবে পদ্মা সেতু সেখানে শিল্প বিকাশে সহায়তা করবে বলে এটিকে আর উপেক্ষা করা হবে না। তিনি বলেন, তার সরকার ইতঃমধ্যে এলাকাটিকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে এবং সেখানে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত করছে। ‘আমরা, দক্ষিণাঞ্চল বা পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষ সবসময়ই অবহেলিত এবং দারিদ্র্য আমাদের জীবনের একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এটা (দারিদ্র) আর থাকবে না,’ বলেন তিনি।

আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে এর জমকালো উদ্বোধন উদযাপন করতে বলেছেন। কারণ শক্তিশালী নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ডাবল ডেক রোড-রেল সেতু নির্মাণ একটি বিষয় ছিল। বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘শুধু পদ্মার তীরে নয়, সারা বাংলাদেশেও এটি উদযাপন করুন। আমি চাই উৎসবটি প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হোক। কারণ এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে অনেকেই মনে করতেন পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদ্রুপ করে তিনি আবারও বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে এমন একজন ব্যক্তির কারণে, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বোচ্চ সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ থেকে যোগ দেন এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মশিউর রহমান।

কুমিল্লায় বার্ড এবং বগুড়ায় আরডিএ-এর মতো, দুটি নতুন বহুতল ইনস্টিটিউট গ্রামীণ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং মডেল প্রোগ্রাম তৈরি করবে। সচিব তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় আরও তিনটি বিভাগে আরও তিনটি ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত