দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে পদ্মা সেতুতে

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২২, ১২:৩৪

সাহস ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী শনিবার (২৫ জুন)। এদিন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন তিনি এবং সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে সংযুক্ত করবে এই সেতু। অন্তত তিন কোটি মানুষ এই সেতু ব্যবহার করে উপকৃত হবে। দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে এই সেতু দিয়ে। জনসাধারণের জন্য ২৬ জুন পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিল বিষয় মাথায় রেখে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ভূমিকম্প। কঠিনতম ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে বানানো হয়েছে এই সেতুকে। সেতুর পিলারের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে, খরস্রোতা পদ্মা ৬২ মিটার পর্যন্ত মাটি সরিয়ে নিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। এটি রিখটার স্কেলে প্রায় নয় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। সেতুটি চার হাজার ডেড ওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) ক্ষমতার জাহাজের ধাক্কা সামলাতে পারবে। মাটি সরে যাওয়া, জাহাজের ধাক্কা ও নয় মাত্রার ভূমিকম্প একসঙ্গে ঘটলেও কোনো সমস্যা হবে না।

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতু তৈরিতে মাটির ১২০-১২৭ মিটার গভীরে পাইল বসানো হয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো সেতু তৈরিতে এত গভীরে পাইল বসানো হয়নি। যা বিশ্বে রেকর্ড। পদ্মা সেতুর আরেকটি রেকর্ড হলো ভূমিকম্পের বিয়ারিং সংক্রান্ত রেকর্ড। এই সেতুতে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’র সক্ষমতা ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত কোনো সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে কাজ ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর শুরু করে সরকার। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির আয়ুষ্কাল ১০০ বছর।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত