রাতে নারী পুলিশ কর্মকর্তা, সকালে সাবেক দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২২, ১৪:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি : নারী পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী আক্তার ও সাবেক দেহরক্ষী পুলিশ কনেস্টবল মাহমুদুল হাসান।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা থেকে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে তাঁর নানাবাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লাবনী আক্তার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই দিন আগে ছুটিতে মাগুরায় আসেন তিনি। বিসিএস ৩০তম ব্যাচের ছিলেন তিনি। তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদের পাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে। তিনি খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) একই জেলা মাগুরা পুলিশ লাইনস থেকে মাহমুদুল হাসান (২৩) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল নিজ অস্ত্রে আত্মহনন করেন। এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল হাসান জানান, এক সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন মাগুরায় পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদে আত্মহনন করা পুলিশ কনেস্টবল মাহমুদুল হাসান। তবে তাদের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

কনস্টেবলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মাহমুদুল ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকেছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

সাহস২৪.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত