রাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৯

সাহস ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে ৭ দিন যাবত বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে অত্র হলের দোলন নামের এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজকে নির্যাতন সইতে না পেরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে গেলে পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন সুমাইয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি অত্র হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতির ইন্ধনে এমন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী সুমাইয়ার সাথে অভিযুক্ত দোলনের কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোলন রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে অভিযুক্ত দোলন ওইদিন রাতেই হলের দায়িত্বরত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবার সামনে ক্ষমা চাইলেও ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেত্রীরা তাকে বিভিন্নভাবে শাসান। এরপর দোলন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়ের সহায়তায় প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ৭ দিন যাবত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রুমে ডাকা ও বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন দোলন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত দোলনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অত্র হলের প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অভিযুক্ত দোলন। ভিতরে আলোচনা চলাকালীন এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে রামেকে ১৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলনকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠুতদন্ত সাপেক্ষে দোলনসহ অভিযুক্তদের হল বহিষ্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সকল শিক্ষার্থী।

জানতে চাইলে বঙ্গমাতার হল প্রাধ্যক্ষ প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া জানান, এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক নন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকেই আমার দপ্তরে ডেকেছি। নির্যাতনের বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবোর্চ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত