নড়াইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫৪ হাজার পশু

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ১৮:১২

নড়াইল প্রতিনিধি
কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করছে খামারীরা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলার ৩ উপজেলায় কোরবানির জন্য ৫৪ হাজার ৮৯০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ জেলায় কোরবানির চাহিদার তুলনায় ২৩ হাজার বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত এ পশু জেলার বাইরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন খামারিরা।

জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের তিন উপজেলায় কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৫৪ হাজার ৮৯০ টি পশু। এর মধ্যে গরু ১৯ হাজার ৬৯৮ টি,ছাগল ৩৫হাজার ১০৩টি, ভেড়া ৮৯ টি।বাড়তি লাভের আশায় খামারিদের পাশাপাশি বাড়িতে পশু পালন করছেন কৃষকরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে এখানকার প্রায় ২৩ হাজার উদ্বৃত্ত পশু।

এ জেলায় ৪হাজার ৫শ’৯৯ টি ছোট-বড় খামারি ও কৃষক বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন করছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় খামারির সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫টি, লোহাগড়া উপজেলায় ১ হাজার ৬৪৩টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১ হাজার ৪৩১টি। এসব খামারে কোরবানির জন্য ৫৪ হাজার ৮৯০ টি পশু প্রস্তুত করা হলেও জেলায় চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ১১৫টি পশুর।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১০হাজার ১০২টি পশু,লোহাগড়া উপজেলায় ১৪হাজার ১২১টি পশু এবং কালিয়া উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৭হাজার ৮৯২টি পশু। এই চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২৩ হাজার পশু রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাবে।

এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনও ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। এ বছর জেলায় ২শ’ ৫২ কোটি
টাকার পশু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

কৃষক ও খামারিরা জানিয়েছেন, কেউ বাড়িতে আবার কেউ খামারে এসব পশু মোটা তাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটা তাজা করছেন তারা। খড়ের পাশাপাশি খৈল,গমের ভুসি,ভূট্টার গুড়া,ধানের কুঁড়া, মুগের ভূষি,খড় ও বুটের খোসা খাওয়ান অনেকে।জেলার ছোট-বড় পশুর খামারে প্রায় ৫০হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসছে কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।

সদর উপজেলার চারিখাদা গ্রামের ওয়ালিউর রহমান বলেন, তার খামারে  দেশি-বিদেশি মিলে ১০টি ষাঁড় মোটাতাজা করা হচ্ছে।তার খামারে এক লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার পশু আছে বলে জানান। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা: আবু তালেব বলেন, ‘কোরবানি সামনে রেখে প্রতি উপজেলার খামার পরিদর্শন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিচ্ছি আমরা।’  প্রাণিসম্পদ অফিসের তত্ত্বাবধানে অনলাইনেও পশু বিক্রি করা হবে। জেলার ৩ উপজেলায় ৬টি স্থায়ী পশুর হাটে পশু বিক্রি হবে।এছাড়া কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ২-৩টি অস্থায়ী হাট বসতে পারে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত