ঠাকুরগাঁওয়ে পাকিস্তান হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৪৩

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

১৯৭১ সালের তিন ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। তাই তখন থেকে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বরে পালিত হয় ঠাকুরগাঁও পাকিস্তান হানাদার মুক্ত দিবস। এবারও নানা আনুষ্ঠানিকতায় যথাযথভাবে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।  

রোববার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে  দিবসটি উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে ডাক বাংলোয় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। পরে পর্যায়ক্রমে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এর পর সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। 

এর পর দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সোলেমান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোছা. লিজা বেগম, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুদ্দোজা (বদর),বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ অনেকে। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের পর সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁয়েও পাকিস্তানি সৈন্যরা আক্রমণ করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনে মেতে ওঠে নরপিশাচ সৈন্যরা। ৭১ এর ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধে সংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামী মানুষরাও। এক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রচন্ড আক্রমণে ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে শক্র মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। ফলে ঠাকুরগাঁও ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সৈন্যরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত