৯৯৯-এ ফোনে উদ্ধার

ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা কনস্টেবল, পুলিশ এসে মুছে দিল ভিডিও

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ২০:০২

Desk Report

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার কনস্টেবল আশিক হোসেন সাদাপোশাকে উপজেলার এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন ঘুষ নেওয়ার জন্য। ওই বাড়ির লোকজন তাকে হাতেনাতে ধরে আটকে রেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। ঘুষ নেওয়ার করা ভিডিও জোরপূর্বক মুছে দেয় পুলিশ। এমনই অভিযোগ করেছে ওই বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার পৌর সদরের শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামে।

গত সপ্তাহে জমিজমা নিয়ে বিরোধের মামলা তদন্ত করতে শ্রীকৃষ্টপুরে আসেন আক্কেলপুর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও কনস্টেবল আশিক হোসেন। আশিক তখন বিবাদী পক্ষের সোহেল রানার কাছে ১ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু সোহেল রানা তা দেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেল রানাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান আশিক। দু’দিন পর রাতে একটি সড়কে সোহেল রানাকে তল্লাশির কথা বলে তাঁর পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দেন কনস্টেবল। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরদিন সেই টাকা নিতে সোহেল রানার বাড়িতে আসেন আশিক। ডাকাডাকি করে তাঁকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরের দরজায় লাথি দিয়ে চলে যান।

শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আশিক হোসেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লায় সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে ঘুষের ২০ হাজার টাকা চান। সোহেল রানা কনস্টেবলের হাতে ৫ হাজার টাকা দেন। এ সময় সোহলের স্ত্রী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। টের পেয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন আশিক। তখন সোহেল রানা কনস্টেবল আশিককে তার বাড়ি আটকে রেখে ৯৯৯-এ কল করেন।

 খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হন। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ সোহেল রানাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইলে থাকা ঘুষ লেনদেনের ভিডিও মুছে ফেলে। এরপর আটক থাকা কনস্টেবলকে নিয়ে যায় তারা।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাসুদ রানা বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবেন।’

জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত