তরুণ নেতাদের বিশ্ব তালিকায় মাশরাফি

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২১, ১৯:০৬

স্পোর্টস ডেস্ক

মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশের সেরাতো ছিলেনই বরং বিশ্বের সেরা অধিনায়কদের মধ্যেও ছিলেন অন্যতম একজন। এবার মাঠের বাইরেও পেলেন নেতৃত্বের স্বীকৃতি।

ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম ২০২১ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সারা বিশ্ব থেকে বেছে নিয়েছে ১১২ জন ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স’। দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন। সেই ১০ জনের একজন মাশরাফি। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি নিজ এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখায় এই স্বীকৃতি পেলেন।

প্রতিবছর রাজনীতি, বাণিজ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং কলায় বিশেষ অর্জন আর অবদান রাখা তরুণ ব্যক্তিত্বদের এই সম্মাননা দেয় ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম। এই তালিকায় থাকতে হলে বয়স হতে হবে ৩৮–এর কম। ৩৭ বছর বয়সে এই স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক।

ইয়াং গ্লোবাল লিডারস ফোরামের তালিকাটি সমগ্র বিশ্বকে মোট ১৩টি অঞ্চলে ভাগ করে তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে এ বছর দক্ষিণ এশিয়া থেকে ১০ জন, আফ্রিকা থেকে ৯ জন, এশিয়ান ৯ জন, অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়া থেকে ২ জন, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে ১ জন, ইউরেশিয়া থেকে ২ জন, ইউরোপ থেকে ২৩ জন, গ্রেটার চায়না থেকে ৯ জন, জাপান থেকে ১ জন, কোরিয়া ও উত্তর এশিয়া থেকে ৩ জন, লাতিন আমেরিকা থেকে ৯ জন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা থেকে ১৩ জন এবং উত্তর আমেরিকা থেকে ২০ জন ইয়াং গ্লোবাল লিডারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ভারতীয়, ১ জন পাকিস্তানি, ১ জন নেপালি এবং বাংলাদেশের মাশরাফি।

তবে বাংলাদেশে মাশরাফিই প্রথম এই স্বীকৃতি পাননি। ২০১৬ সালে ইয়াং গ্লোবাল লিডার হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মাশরাফিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে-
মাশরাফি বিন মুর্তজা, বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। মাশরাফি তিনটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্রিকেটের বাইরে তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নিজ শহর নড়াইলের মানুষের দারিদ্র্যতা দূর করতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৬টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ভাবনা থেকে তিনি নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনও প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্যগুলো হলো, নাগরিকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যেটি হবে মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা, তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, খেলোয়াড় তৈরি করা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, চিত্রা নদীতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন এবং নড়াইলকে তথ্য, প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তর করা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত