অবশেষে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড

নিরাপত্তা শঙ্কাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছিল নিউজিল্যান্ড। তার কিছুদিন পর ইংল্যান্ড দলও জানিয়ে দিল, তারাও পূর্বনির্ধারিত পাকিস্তান সফর বাতিল করছে। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। চলতি বছরের শেষভাগে অবশেষে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২২-২৩ মৌসুমের জন্য নিজেদের মাটিতে পুরুষ ও নারী দলের আন্তর্জাতিক সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সূচি অনুসারে, বাবর আজমদের সামনে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। দ্বিপাক্ষিক টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি তাদের নামতে হবে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আর এই ব্যস্ততার মধ্যেই নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে পাকিস্তান।

এক মাসের ব্যবধানে ইংল্যান্ড দুবার পাকিস্তান সফর করবে। প্রথমে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। এরপর নভেম্বর-ডিসেম্বরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আবার দেশটিতে সফর করবে ইংলিশরা। ম্যাচগুলো আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

নিউজিল্যান্ডও দুবার উড়ে যাবে পাকিস্তানে। ইংল্যান্ডের প্রথম দফার সফর শেষের পরপরই দুই টেস্ট এবং তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে সেখানে সফর করবে কিউইরা। এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিলে তারা ফের পাকিস্তানে যাবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। সেসময় তারা অংশ নেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মতো পাকিস্তানে দুই দফায় খেলতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। বাবরদের ঘরোয়া মৌসুম শুরু হবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। এটি মাঠে গড়াবে আগামী জুনে। এরপর আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে উইন্ডিজ।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সফর বাতিল করা জোর ধাক্কা হয়ে এসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য। তবে ওই প্রতিকূল অবস্থা থেকে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। শঙ্কার দোলাচল উড়িয়ে গত মার্চে দেশটিতে ঐতিহাসিক সফর সম্পন্ন করেছে অস্ট্রেলিয়া।