দানবীয় চাকায় পিষ্ট রামগঞ্জের সড়কপথ

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:০৬

রামগঞ্জ প্রতিনিধি

জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ২৩টি ইট ভাটায় পরিবেশ আইন অমান্য করে ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সদ্য রোপন করা ধানগাছসহ ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে।

এতে মাটির উর্বরা শক্তি কমে ফসল উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে জমির মাটি আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রলির দানবীয় চাকায় পিষ্ট হচ্ছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাট।

আইনের তোয়াক্কা না করে ইটভাটা মালিকগণ এমন কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে আসলেও এ যেন দেখার কেউই নেই। এতে একদিকে যেমন ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের অন্যদিকে দীর্ঘসময় থেকে সংস্কার না হওয়া উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো পিষ্ট হচ্ছে ভারী যানবাহনের চাকায়। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থারও চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ইটভাটাগুলো।

জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার  নোয়াগাঁও, কাঞ্চনপুর, পানিয়ালা, মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ রোড, ভোলাকোট, চন্ডিপুর, লামচর, ভাদুর ও দরবেশপুর ইউনিয়নের আবাদি জমির ওপরের অংশ এক থেকে দুই ফুট গর্ত করে কাটা হয়েছে। কোথাও কোথাও কোমর সমান গর্ত করে মাটি তুলে নেয়া হচ্ছে ইটভাটার জন্য।

ডাক্তার আবদুল্লাহ আল মাঈদ জানান, শুধু ফসলি জমির মাটি নিয়ে জমির উর্বরতা হ্রাস করা হচ্ছে তা নয়। লোকালয় ও জনবসতির আশেপাশে ইটভাটা নির্মানের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্টসহ মারাত্মক ঝুকিতে রয়েছেন ইটভাটা এলাকার লোকজনের।

এব্যপারে কোন ইটভাটা মালিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ইটভাটা মালিক সানাউল্যা মিয়াকে সরেজমিনে তদন্ত করে মোবাইলে কল দিলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা যথাযথ নিয়ম মেনে ইটভাটা নির্মান করেছি। পারলে কিছু করেন।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী ইট ভাটায় ফসলি জমির মাটি ব্যবহার করা যায় না। বেশ কয়েকবার ইটভাটা মালিকদের এ বিষয়ে সর্তক করে দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি কোথাও তা হয়ে থাকে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত