পিরোজপুরে মন্নাফ খা’র বিরুদ্ধে ১৯ অভিযোগে যুদ্ধাপরাধ মামলা

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:০৪

পিরোজপুর প্রতিনিধি

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকলে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে স্থানীয় মানুষ হত্যা, ঘর-বাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারীদের ধর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আঃ মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা নামের এক ব্যাক্তি বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দেলোয়ার ফরাজী বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামন এর বিচারিক আদালতে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মোট ১৯টি অভিযোগ আনাসহ ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামি আঃ মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ হত্যা, ঘর-বাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারীদের ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়ান। যুদ্ধচলাকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নিতাই হালদার, কালিপদ, কবিরাজ বাড়ি, গৌরঙ্গ মিস্ত্রী ও শুনীল ঠাকুরের বাড়ীসহ অনেক সংখ্যালঘুদের ঘর লুট-পাট ও অগ্নি সংযোগ করে।

একই গ্রামের মন্ডল বাড়ীর সুদ্বীপ্ত মন্ডলের দুই যুবতী কন্যা লতিফা ও কল্পনাকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করায়।

এছাড়া উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের মোতাহার মীরের পুত্র ওয়াজেদ মীর ও চারাখালী গ্রামের ধনাঞ্জয় হালদারের পুত্র গণেশ হালদার পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে তাদের হত্যা করে।

এছাড়া পিরোজপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যে বই প্রকাশ করা হয়েছে সেই বইয়ের ৩৩৭ নং পৃষ্ঠায় ২২ নং ক্রমিকে কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে আসামির নাম আছে যা মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত