নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে খাদ্য সংকট

প্রকাশ : ২৬ মে ২০১৬, ১৬:৫৫

পপেন ত্রিপুরা

(১)
প্রথমে রিমাইন্ড করে নিই যে, বাংলাদেশ ‘নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ’-এ তালিকাভূক্ত এবং ঘোষিত। এনজিও নেতাদের অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ ঘোষিত হওয়ায় দাতা দেশসমূহ বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আফ্রিকার দিকে এগিয়ে গেছে। দাতা সংস্থাদের ধারণা, বাংলাদেশ এখন উন্নত। এখানে উন্নয়ন কর্মসূচির আর প্রয়োজন নেই। এ কারণে, বাংলাদেশের এনজিও নির্ভর শিক্ষিতরা এখন বেকার। খাদ্য সংকটতো বাড়বে। বাংলাদেশের জিডিপি আর বাস্তব আকাশ পাতাল ব্যবধান। এরকম ঘটনাতো হবেই। কিছুদিন পর জিডিপি'র ভিত্তিতে দেশ ঘোষিত হবে মধ্য আয়ের দেশ-এ। তখন, এখন যতটুকু প্রকল্প এনজিওরা পায় তাও প্রত্যাহার করে নেবে দাতা সংস্থারা। খাদ্য সংকটতো হবেই।

(২)
থানচি। বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবান পার্বত্য জেলার একটি উপজেলার নাম। নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের একটি উপজেলায় চরম খাদ্য সংকট এবং খবরটি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হওয়া চারিখানা কথা নয়। যদিও আমি খবরটি এখনও পড়িনি। তবুও মানি, খাদ্য সংকট অবাস্তবের কিছু নয়।

(৩)
চরম খাদ্য সংকট'র সমস্যা নিয়ে থানচি মিডিয়ায় এসেছে। তাই আমরা 'থানচি' নামটি মুখস্থ করছি, ফেসবুকে শেয়ার করছি। ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো কত থানচি রয়েছে তা কি আমরা খবর রাখি? আমি দেখেছি, মহালছড়ির মাইসছড়ির সেই দুর্গম ছাতিপাড়া, হাজাছড়া, তৈসাকালকসহ কত গ্রাম থানচির মতই সারা বছর খাদ্য সংকটে ভোগে। জঙ্গলী আলু, কলাগাছ, বাঁশ কুড়োল দিয়ে সেখানকার আদিবাসীরা তাঁদের খাদ্য ঘাটতি মেটায়। সেখানকার মা-শিশুদের দেখলে বোঝা যায় তাঁদের রয়েছে খাদ্যের অভাব, পুষ্টির অভাব। তাঁরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বেড়ে উঠতে চেষ্টা করে প্রতিনিয়ত।

পপেন ত্রিপুরা’র ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত