শান্তিপ্রিয় প্রচেষ্টাকে দুর্বলতা ভাববেন না: উ.কোরিয়া
প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৮, ১৮:২৩
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও অব্যাহত চাপের কারণেই উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মতি দিয়েছে। ওয়াশিংটনের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানান পিয়ংইয়ং। পাশাপাশি জনমতে বিভ্রান্ত না ছড়াতেও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তিনি। এবং তাদের শান্তিপ্রিয় প্রচেষ্টাকে যেন দুর্বলতা না ভাবা হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কের জেরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরিয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মতি দেন উত্তর কোরিয়ার। তবে কিভাবে এই নিরস্ত্রীকরণ অর্জিত হবে তা বৈঠকের ঘোষণায় ছিল না।
অপরদিকে ওয়াশিংটন দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ এবং অবরোধের কারণে উত্তর কোরিয়া এখন আলোচনায় রাজি হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে কেসিএনএ জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় কৌশলগত সরঞ্জাম মোতায়েন ও মানবাধিকার ইস্যু তুলে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর কোরিয়াকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে। এই ধরণের কাজ চলমান থাকা উচিত হবে না। তাহলে এটাকে আলোচনার জন্য কষ্টার্জিত পরিবেশ নষ্টের ভয়ঙ্কর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হবে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের শান্তিপ্রিয় অভিপ্রায়কে ওয়াশিংটন দুর্বলতা, চাপ আর সামরিক হুমকির ফল ধরে নিলে তা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যু সমাধানে সহায়ক হবে না।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আগের প্রশাসনগুলোর মতো ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না তিনি। উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ ও অবরোধ অব্যাহত রাখবেন।
শুক্রবার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইয়ো-ইয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয় দুই নেতা তাদের প্রতিরক্ষা মনোভাব বদলাবেন না।
সাহস২৪/তানভীর/আল মনসুর