পাচারের গরু আসায় লোকসানে পড়ার শঙ্কায় খামারিরা

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ২০:২৫

Desk Report

কোরবানি ঈদ আসন্ন। ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত ২ লাখ খামারিসহ আরো কয়েক লাখ ক্ষুদ্র কৃষক। ছোট, বড় এসব খামারির প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে, যা মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ২৩ লাখ বেশি বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পশুখাদ্যের উচ্চমূল্য, তীব্র দাবদাহে বাড়তি যতে্নর কারণে এবার উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। অপর দিকে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে নানা কৌশলে গরু ঢুকছে বলে অভিযোগ খামারিদের।

দেশে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও কুরবানির আগে একাধিক চোরাচালন চক্র সীমান্ত পথে গরু এনে থাকে। এবারো ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে দেশে গরু ঢুকছে। চোরাচালানিদের সঙ্গে গরু ব্যাপারিদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করার পর ব্যাপারি ও দালালদের মাধ্যমে গরু একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলে যাচ্ছে। আনা হচ্ছে কিছুৃ মহিষও। এতে দেশের খামারীরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন। অবশ্য সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি ও কোষ্টগার্ড ভারত এবং মিয়ানমার থেকে গরু ঢোকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। 

বিডিএফএ সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, গবাদিপশু উৎপাদনে প্রায় ৮০ শতাংশই খরচ হয় খাদ্যে। গত বছরের তুলনায় পশুখাদ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। এ কারণে পশুর প্রকৃত দাম নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। দেশের খামারিদের কাছে চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে। এ কারণে দাম না বাড়লেও খামারিরা লোকসানে পড়তে পারেন। তবে খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ে গরু লালন পালনে খরচের কিছুটা ফাঁরাক হয়ে থাকে। প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থাৎ গৃহস্থ পর্যায়ের লালন পালনে দানাদার খাবার কম খাওয়ানো হয়। আর বাণিজ্যিক পর্যায়ে খামারিদের খরচ বেশি হয়ে থাকে। এর পর যদি গরু আমদানি হয়, তাহলে খামারিদের মাথায় হাত পড়বে। খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় তিনি চোরাই পথে দেশে গরু আসা বন্ধে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা এবং কোরবানির পশু পরিবহনে পথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত