নারী শ্রমিকদের জীবন

নারী শ্রমিকরা এগিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধে

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ২১:০৮

সাহস ডেস্ক

কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড), সা’দ মূসা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন হাজার হাজার নারী। সূর্যের আলো বের হওয়ার আগে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করে নিজের জন্য টিফিন নিয়ে ব্যাগ হাতে বেরিয়ে যান তারা। সকাল-সন্ধ্যা উপজেলার সদর, কালাবিবির দীঘি, চৌমুহনী, সেন্টার, বটতলী, সিইউএফএলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভরে যায় নারী শ্রমিকদের পদচারণায়।বাস, সিএনজি, অটোরিকশা, জিপগাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে বাড়ি ফেরার বা কর্মস্থলে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। বছর দশেক আগেও নারীরা নিজের ঘরের ভেতর থেকে কাঁথা সেলাই করা, টুপি বানানো, জাল তৈরি, বাঁশ আর পিতলের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতেন। কিন্তু এখন মেয়েরা কাজের জন্য ছুটছেন শিল্পকারখানায়। বলা বাহুল্য, কাছাকাছি কাজের সুযোগ ও  ভালো আয় এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।

অনেকেই পরিবারের কথা ভেবে নিজেদের পড়াশোনার ইতি টেনে পরিবারের হাল ধরেছেন। অনেকেই স্বামীর অসুস্থতা কিংবা স্বামীর মৃত্যু বা অনুপস্থিতিতে নিজেদের পরিবারকে আগলে রাখছেন। এদের মধ্যে অনেকে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিশ্চিত করার জন্য খেটে যাচ্ছেন প্রতিদিন। আবার নিজের বিয়ের টাকা জোগাড় করতেও কাজ করছেন অনেকে।

কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন নারী শ্রমিকদের সঠিক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করে কাজ করে। বর্তমানে কেইপিজেডের বিভিন্ন সেক্টরে ২৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। যার মধ্যে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক। আগামীতে ১ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। নারীরা সমাজে অবহেলিত ও নিপীড়িত। তাই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তাদের এই অগ্রাধিকার বজায় থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত