গোপালগঞ্জে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ

প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৭, ১৫:২০

সাহস ডেস্ক

সরকারি চাল সংগ্রহ অভিযানে এখন পর্যন্ত গোপালগঞ্জের মিল মালিকদের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের জন্য কোনও মিল মালিকই এখনও চুক্তি করেনি। এদিকে  ২০ মে (শনিবার) চুক্তি করার শেষ দিন। সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে প্রতি কেজি চাল ৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে মিল মালিকরা সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জে চাল সংগ্রহ অভিযান অনেকটা অনিশ্চিতার মুখে পড়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলার ৫ উপজেলার ৬টি খাদ্য গুদামে সরকার ৬ হাজার ৭১ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত জেলার ৯৩ জন মিল মালিককে টন চাল সরবরাহ করতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে চুক্তি করতে বলা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল মালিক জানান, বৈরী আবহাওয়ায় কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। এ কারণে বাজারে ধানের দাম বেশি। বেশি দামে ধান কিনে মিলিং করে চাল তৈরি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি চালের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল প্রকার ভেদে পাইকারী ও খুচরা বাজারে ৩৯ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের চালের তুলনায় সরকারের খাদ্য গুদামে চাল আরও শুকিয়ে সরবরাহ করতে হয়। এজন্য উৎপাদন খরচ আরও বেশি পড়ে। সেজন্য সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহে আগ্রহ নেই মিল মালিকদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক মিল মালিক জানান, সরকার প্রতি মণ ধানের দাম ৯২০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এ কারণে কৃষক এ বছর ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন। বোরোর ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম চড়া। কৃষকের ঘরে পুরো ধান ওঠার পর বাজারে ধানের আমদানি বাড়বে। তখন দাম কিছুটা হলেও কমবে। লাইসেন্স ঠিক রাখতে শেষে পর্যন্ত কোনও কোনও মিল মালিকই সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করবেন।

গোপালগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয় কৃষ্ণ গুপ্ত বলেন, সদর উপজেলায় খাদ্য অধিদপ্তরের ২৮ জন তালিকাভুক্ত মিল মালিক রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন চুক্তি করতে চাইছেন। আমরা মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করবো।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খলিলুর রহমান বলেন,  ১৭ মে (বুধবার) পর্যন্ত জেলার কোনও মিল মালিক চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেননি। ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) একটি চুক্তি হতে পারে। ২০ মে (শনিবার) মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তির শেষ দিন। দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও আমরা অফিস করবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত