জৈব সার উৎপাদনে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন আনোয়ার

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৩২

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা রাসায়নিক সারের পাশাপাশি কেঁচো ও গোবর দিয়ে তৈরি জৈব সার উৎপাদন ও প্রয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে। ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি সহ শাক-সবজি, ফল-মূলের ফলনও ভাল হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউপির কুজাইল গ্রামের মৃত বদরুল আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।

কৃষি জমিতে ব্যবহারিত ভার্মি কম্পোস্ট সার কৃষি খাতে আরো সম্প্রসারিত ও নিজ পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন আনোয়ার। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৬ মাস আগে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হয়।

জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও উপজেলা কৃষি অফিসের বাস্তবায়নে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্ট (এনএটিপি) এর আওতায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ (সিআইজি) প্রকল্পের মাধ্যমে ৬টি সিআইজি কৃষক সমিতির মাধ্যমে প্রায় ২০টির মত ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী চলমান রয়েছে। সমিতির সদস্যরা কেঁচো সার উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের থাই কেঁচো দ্বারা পরিবেশ বান্ধব জৈব সার তৈরির সকল প্রকার উপকরণ বিনামূল্যে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন নওগাঁর যুব উন্নয়ন থেকে কেঁচো সংগ্রহ করে নিজের ফার্মের গরুর গোবর দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন। প্রথম দিকে অল্প পরিমাণ সার উৎপাদন হলেও তার কর্মকাণ্ড দেখে উপজেলার এনায়েতপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব রতন তাকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন। আনোয়ার নিজ বাড়িতে ভার্মি 

কম্পোস্ট প্রদর্শনী চালু করেন। বর্তমান এখান থেকে স্বল্প পরিসরে স্থানীয় কিছু সবজি চাষি ও নার্সারি মালিকরা প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে জৈব সার নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, ফসলী জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো ও কৃষকদের পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করতেই সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত