যশোর অঞ্চলের ৬ জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশ : ০৫ মে ২০১৮, ১৭:৪৪

সাহস ডেস্ক

যশোর এ অঞ্চলের ৬ জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটা ও মাড়াই শেষে ঘরে ওঠানো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে যশোর অঞ্চলের ৬ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর। এ ছয় জেলায় চলতি মৌসুমে ৩লাখ ৫১ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৪ লাখ ১হাজার ৯শ’২২ মেট্রিক টন চাল। গত বছর অতি বর্ষণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ অঞ্চলের কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৪৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করেছেন। এ অঞ্চলের ৬ জেলায় ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ধান কাটা পুরোপুরি সম্পন্ন হবে এবং এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানালেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুনীল কুমার রায় জানান, যশোর অঞ্চলের ৬ জেলা-যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিস্তীর্ণ মাঠে পাকা ধানের সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সময়মতো উন্নতমানের বীজ, পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক চাষিদের মাঝে সরবরাহ করায় বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর অতি বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের কৃষকরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ অঞ্চলে বোরো ধানের আবাদ বাড়ছে বলে তিনি জানান।

যশোর সদর উপজেলা, বাঘারপাড়া উপজেলার, অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন, কৃষাণ-কৃষাণীরা পাকা ধান কেটে মাড়াই শেষে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশ কয়েকজন কৃষক এ প্রতিনিধিকে জানান, গত বছর ধান-চালের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর তারা বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক কাজী হাবিবুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৬-৭ টন শুকনা ধান পাওয়া যাচ্ছে। শতকরা ৮০ভাগ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। বোরো ধান হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের প্রধান ফসল তাই প্রতি বছর তারা আগ্রহ সহকারে এ ফসল চাষ করে থাকেন ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তোলা পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ফলন ভালো হবে বলে তিনি জানান।

সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত