সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ চলছে
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৭, ১০:২৮
সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ শুরু হয়েছে। লে.কর্নেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে এই বিশেষ অভিযানে সম্মুখভাগে অংশ নিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো সদস্যরা। অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন।
বাইরে রয়েছেন সোয়াট, র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
২৫ মার্চ (শনিবার) সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি উস্তার মিয়ার মালিকানাধীন ভবন ‘আতিয়া মহলে’ এ অভিযান শুরু হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা এ খবর নিশ্চিত করেন।
পুলিশের আহ্বানের পরও আত্মসমর্পণে সাড়া না দেওয়ায় সোয়াট টিমের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট।
২৪ মার্চ (শুক্রবার) সারা রাত সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা বাসাটি ও তার আশাপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ওই এলাকায় ও তার আশপাশে বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যা। বাসার চারদিক হ্যাজাক লাইট দিয়ে আলোকিত করে রাখা হয়।
বাসাটির ৫তলা ও ৪তলা দু’টি ভবনের সবক’টি ফ্লাটে ২৮টি পরিবারের লোকজন জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। ভেতরে থাকা লোকজনকে কিভাবে বের করে আনা যায়, সে চেষ্টায় রয়েছে যৌথ বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বের করে আনতে দেখা যায়নি।
অভিযানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত ও রক্তদাতাদেরও ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
২৪ মার্চ (শুক্রবার) ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার উস্তার মিয়ার বাড়ি ‘আতিয়া মহল’ ঘেরাও করে রাখে পুলিশ।
সকাল সোয়া ৭টায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা আল্লাহ আকবার বলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সকাল ৯টা থেকে পুলিশ ভবন লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়ছে। তবে ভবনের ভাড়াটিয়া নিরীহ লোকজনের কাউকে বের করে আনতে পারেনি। পুলিশের ধারণা ‘মর্জিনা’ নামে কোড ব্যবহার করে জঙ্গিরা ওই বাসায় অবস্থান নিয়েছে। বাসায় নব্য জেএমবি নেতা মুছা থাকতে পারে, এমন ধারণাও পোষণ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।