নেতাজির ‘মৃত্যুসংবাদ’ নিশ্চিত করেছিল জাপান

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:৪১

সাহস ডেস্ক

তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছিল জাপান। 

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) 'বোসফাইলস ডট ইনফো' নামে ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে জাপানের সেই রিপোর্ট।  

ওয়েব সাইটটিতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৪৫ সালে ব্রিটেনের কাছে জাপানের পাঠানো ওই প্রাথমিক রিপোর্টই (নেতাজির মৃত্যুসংক্রান্ত) পূর্ণাঙ্গ আকারে ১৯৫৬ সালে পাঠানো হয়েছিল ভারত সরকারকে। 

তৎকালীন যৌথবাহিনীর কমান্ডার লুই মাউন্টব্যাটনের নির্দেশে জেনারেল ডগলাস ১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপান সরকারের কাছে নেতাজির মৃত্যু সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা নিশ্চিত করে মৃত্যুসংবাদ। ব্রিটেন নিবাসী ৯১ বছরের গোবিন্দ তলোয়ারকরকে উদ্ধৃত করে ওয়েবসাইটটি এই তথ্য জানিয়েছে।   

গোবিন্দ তলোয়ারকর এর দাবি, ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাপানের পার্লামেন্ট 'ডায়েটে'র গ্রন্থাগার থেকে ওই রিপোর্ট সংক্রান্ত ফাইলগুলো উদ্ধার করেছেন তিনি।    

রিপোর্টে দাবি করা হয়, ৯৭/২ মডেলের একটি বোমারু বিমান ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট দুপুর ১টায় নেতাজিকে নিয়ে তাইহোকু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পাইলট বিমানটিতে জ্বালানি ভরার পর দুপুর ২টায় গন্তব্যে রওনা হন। কিন্তু মাটি থেকে ১০ মিটার উপরে ওঠার মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটির বাঁদিকের 'প্রপেলার'। বিমানটি রানওয়ের শেষপ্রান্তে মুখ থুবড়ে পড়ে। মাটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটির সামনে-পেছনে আগুন ধরে যায়। সেই সময় বিমানের বাঁদিকের ভাঙা অংশ থেকে  বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন নেতাজি। সারা গা তখন জ্বলছে তাঁর। মুহূর্তের মধ্যে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসেন নেতাজি'র সহযোগী হাবিবুর রহমানও। সকলে মিলে সুভাষচন্দ্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নেতাজিকে দুপুর ৩টায় তাইহোকুর সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জাপানের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।    

রিপোর্টে আরও বলা হয়, ২০ আগস্ট কফিনবন্দি করা হয় নেতাজির মরদেহ। ২২ আগস্ট তাঁর অন্ত্যোষ্টি (ক্রিমেশন) হয়। পরদিন নিশি হোনগানজি মন্দিরে নেতাজিকে শেষশ্রদ্ধা (ফিউনারাল) জানানো হয়।     

সূত্র : এবেলা 
 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত