দেবব্রত বিশ্বাস

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৫৫

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের এক গোঁড়া ব্রাহ্ম পরিবারে ১৯১১ সালে দেবব্রত বিশ্বাসের জন্ম। আজ ২২ অগাষ্ট তাঁর জন্মদিন। তিনি বলতেন “রবীন্দ্রগানের জন্ম ব্রাহ্মসমাজে, আমার জন্মও ব্রাহ্ম পরিবারে, সুতরাং রবীন্দ্রগান আমার ভাই”। ব্রাহ্ম পরিবারে উপাসনার জন্য গান গাওয়া ছিল আবশ্যিক , তাই মায়ের কোলে চড়েই তাঁর গান গাওয়ার প্রথম পাঠ। এই ব্রাহ্ম সমাজের এক প্রার্থনা সভায় রবীন্দ্রনাথকে গান শোনানোর দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস।

দেবব্রত বিশ্বাস প্রথাগত ভাবে সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেননি বা শান্তিনিকেতন থেকেও রবীন্দ্রগানের পাঠ গ্রহণ করেননি। অথচ রবীন্দ্রগানে ছিল তার অনায়াস অধিকার। তিনি যত রবীন্দ্রগান গেয়েছেন প্রায় সমপরিমান অন্যগানও গেয়েছেন। তিনি রবীন্দ্রগানে তাঁর গায়কীর গুনে আমাদের অন্তরে এক নবতর উপলব্ধির সন্ধান দিয়েছিলেন। কবে থেকে তিনি গান গাওয়া শুরু করেছিলেন তা তিনি নিজেও মনে করতে পারেননি। তাঁর নিজের কথায় “ গান গাইছি তো গাইছি। ছোটবেলার দিনগুলি থেকে শুরু করে শুধু গান শুনেছি আর গেয়েছি”।

তখন ১৯৭৭ সাল, প্রবল বন্যায় পশ্চিমবঙ্গ ভাসছে। সেসময় বামফ্রন্ট সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। তিনি আবার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো। সরকারের পক্ষে বন্যাত্রানে সাতদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রবীন্দ্রসদনে। বুদ্ধবাবু নিজে এসে তাঁকে অনুরোধ করেছেন অন্ততঃ দুদিন যেন তিনি গান করেন। সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে গেলেন তিনি। বললেন প্রয়োজনে রোজই তিনি গাইতে পারেন যদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে টিকিট বিক্রি না হয়। এই হলেন দেবব্রত বিশ্বাস।

দেবব্রতর পিতামহ কালীকিশোর বিশ্বাস তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার ইটনা গ্রামে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন। গোঁড়া হিন্দুরা তাঁকে একঘরে করে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করেছিল। বিরিশালে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম । শৈশবে বিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর হিন্দু সহপাঠিরা তাঁকে ম্লেচ্ছ বলতো। ১৯২৭ সালে কিশোরগঞ্জ থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতায় সিটি কলেজে ভর্তি হলেন এবং সেখান থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভর্তি হলেন বিদ্যাসাগর কলেজে। এই সময় সেকালের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ – সুরকার হিমাংশু দত্ত, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ সেনগুপ্ত প্রমুখের সঙ্গে পরিচয় হয়। কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজের প্রার্থনা সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত গান করতেন। 

১৯৩৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ পাশ করে হিন্দুস্থান ইনসিওরেন্স কোম্পানীতে চাকুরী জীবন শুরু করলেন। প্রথম একবছর বিনা বেতনে চাকরী, পরের বছর থেকে পঞ্চাশ টাকা মাসিক বেতনের স্থায়ী চাকুরী। হিন্দুস্থান ইনসিওরেন্স পরে ‘ভারতীয় জীবন বীমা নিগম’ এ রূপান্তরিত হয়, সেখান থেকেই ১৯৭১ সালে ষাট বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন । ব্রাহ্ম সমাজের পরিবেশই তাঁকে শুরু থেকেই রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি আকৃষ্ট করেছিল।

শোনা যায় ১৯২৭ সালে কিশোরগঞ্জ হাইস্কুল থেকে দেবব্রত বিশ্বাস ম্যাট্রিক পাশ করার পর প্রথমে ভর্তি হন আনন্দমোহন কলেজে। কিন্তু ১৯২৭ সালের শেষের দিকে ব্রাহ্মসমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর বাবা তাঁকে পাঠিয়ে দেন কলকাতায়। তখনই তিনি ভর্তি হন সিটি কলেজে। এ সময় থেকেই ২১১ নং কর্ণওয়ালিশ ষ্ট্রীটের ব্রাহ্মসমাজের মন্দিরে যাতায়াত শুরু করেন তিনি। সেখানেই ১৯২৮ সালে ৬ই ভাদ্র রবীন্দ্রনাথকে দেখার সৌভাগ্য হয় তাঁর।

শিল্পীর নিজের কথায়, “‌১৯৩৮ সন থেকে আমার মনটি বেশ বাঁয়ে হেলে চলতে শুরু করল। কিন্তু তখনকার দিনে ইংরেজ সরকার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনী করে রেখেছিল, তাই গোপনে কাজ করতে হত”। ‌১৯৪২সালে ১লা আগষ্ট এই বেআইনী তকমা উঠে যায়। আর ৪৬নং ধর্মতলা স্ট্রীটের বাড়ির একটি ঘর হয়ে ওঠে বামপন্থীদের মিলনকেন্দ্র। দেবব্রত বিশ্বাসের নিয়মিত যাতায়াত ছিল সেখানে। ১৯৪৩ সালে বামপন্থীদের একটি দল যোগ দেয় বোম্বাই-এ কমিউনিস্ট পার্টির অধিবেশনে। সেই দলে ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। ওখান থেকে ফিরে এসে মেতে ওঠেন গণনাট্য সংঘ নিয়ে। বাম মতাদর্শকে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরে শহরে গ্রামে গেয়ে বেড়াতেন গণনাট্যএর আর রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গান। ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের পরে শিল্পীর ঘরে বসেই জোতিরিন্দ্র মৈত্র রূপ দিলেন ‘‌নবজীবনের গান’-‌এর।

জীবনের শেষ পর্যায়ে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল যে,জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, তাদের ভাষা শিখতে হবে, তাদের কাজ করতে হবে, তাদের সঙ্গে থেকে কাজ করতে হবে, তাইলে জনগণের চেতনা উদ্বুদ্ধ করতে হবে”। ‌অনেকেরই হয়তো এটা অজানা যে, রবীন্দ্র সংগীতের কিংবদন্তি গায়ক দেবব্রত বিশ্বাস ওরফে জর্জদা অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।

আজীবন অকৃতদার দেবব্রত ১৯৩৯ সালে ভারতের কম্যুনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। পার্টি তখ বে-আইনী। সেকালের প্রখ্যাত মার্ক্সবাদী তাত্বিক ফ্যাসিবিরোধী লেখক সঙ্ঘ ও ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চিন্মোহন স্নেহানবিশ ছিলেন তাঁর সহকর্মী , সেই সূত্রেই তার কম্যুনিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওঠা। গণনাট্য সঙ্ঘে তখন উদয় শঙ্কর, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরী, শম্ভূ মিত্র, তৃপ্তী ভাদুড়ী(মিত্র), বিজন ভট্টাচার্য, সুচিত্রা মিত্র প্রমুখ – বাংলা সংস্কৃতির সে এক জোয়ারের কাল। মাঠে ময়দানে, সভা সমিতিতে দেবব্রত সুকান্ত, সলিল চৌধুরীর গানের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গানও গাইছেন। ১৯৪৯এ পার্টি যখন বে-আইনী, নেতৃত্ব আত্মগোপনে – দেবব্রতর ওপর দায়িত্ব বর্তালো সঙ্গীতানুষ্ঠান করে অর্থ সংগ্রহের। হেমন্ত ও সুচিত্রার শযোগিতায় ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্য প্রদঈশনীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯৫৩তে ভারতের সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি চিনে গেলেন গান গাইতে, চিন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা লিখে গেছেন ‘অন্তরঙ্গ চিন’ গ্রন্থে।

আবার সেই দেবব্রতই ১৯৬২’র পর নিজেকে বাঁয়ের রাস্তা থেকে গুটিয়ে নিলেন। তার মানে তিনি ‘দক্ষিণ পন্থী’ হয়ে গেলেন তা কিন্তু নয় , বলা ভালো নিজেকে গুটিয়ে নিলেন – তাঁর নিজের কথায় “থেমে যেতে হ’লো”। কেন তিনি সরে গেলেন সে অন্য প্রসংগ। ষাটের দশক থেকেই কম্যিনিষ্ট পার্টির মধ্যে মতাদর্শের দ্বন্ড্ব প্রবল হয়ে ওঠে এবং অবশেষে কম্যুনিষ্ট পার্টি দু টুকরো হয়ে যায় , যার অনিবার্য প্রভাব পড়ে সামাজিক সংগঠনগুলিতেও। কর্মক্ষেত্রে যে ইউনিয়নের সক্রীয় কর্মী ছিলেন সেটিও বিভেদের শিকার হ’ল, সেখান থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিলেন দেবব্রত। পার্টি ও ইউনিয়ন্রের বিভাজনে এতোটাই আহত হয়েছিলেন যে অবসরের পর ইউনিয়নের সকর্মীরা তাঁকে বিদায় সম্বর্ধনা দেবার প্রস্তাব করলে তিনি তা গ্রহণ করতে অসম্মত হন। তাঁর আত্মকথন ‘ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গীত’ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন ...... প্রায় উনিশ- কুড়ি বৎসর বেশ বাঁদিকে হেলে কেটে যাচ্ছিল। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকেই আমার মনে রাজনীতির ব্যাপারে কি রকম জানি একটু সংশয়ের উদয় হয়েছিল। হঠাৎ ১৯৬২তে দেখলাম বাঁদিকে নিদারুণ অগ্নিকাণ্ড – পরস্পর বিরোধ ও বিদ্বেষের আগুন। ভীষণ দমে গেলাম। ...... বহু বৎসর অভ্যাসের ফলে আমার মনতাও বাঁয়ে হেলে চলতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল, তাই মনটাকে অন্য কোন ধরণের নতুন পথে চলতে বা নতুন পথ ধরতে রাজী করাতে পারলামনা”। দেবব্রত থেমে গেলেন। এ একরকম থাম, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া । কিন্তু অন্য দিকে তাঁকে থামানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথের ব্রহ্ম সঙ্গীত ছাড়াও ছাত্র জীবনে হিমাংশু দত্ত, শচীন দেব বর্মণ, সায়গল প্রমুখের অনেক গানও ছাত্রজীবনে গাইতেন। রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ডে গাওয়ার আগে নজরুল ইসলামের কথায় ও সুরে দুটি গান তিনি রেকর্ডে গেয়েছিলেন । সেই সময় তিনি(১৯৩৫-৩৬) কয়েকটি ছায়াছবিতেও গান গেয়েছিলেন। গ্রামোফোন রেকর্ডে তিনি প্রথম রবীন্দ্রগান গাইলেন ১৯৩৯ এ কনক দাশের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে ‘হিংশায় উন্মত্ত পৃথ্বি’ ও সঙ্কোচের বিহবলতা’। বলা যেতে পারে শুরু থেকেই তাঁর গানকে থামিয়ে দেবার অবাক করা প্রয়াস শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে বিদেশী গ্রামোফোন কোম্পানীই ছিল রেকর্ড প্রকাশের বনেদি প্রতিষ্ঠান ও একচেটিয়া অধিকারী, তারা ‘হিজ মাশটার্স ভয়েস’ এবং ‘কলম্বিয়া’ এই দুটি লেবেলে গান রেকর্ড ও প্রচার করতো। পরে ‘হিন্দুস্থান, ‘সেনোলা’ এই রকম দু একটি দেশীয় রেকর্ড কোম্পানী হয় । ১৯৩৯ এ প্রথম রেকর্ড বেরোবার পর হিস মাস্টার্স ভয়েস থেকে তাঁর আরর ১০/১২টি গাঙ প্রকাশিত হয়। এর পর ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ কোম্পানী তাঁকে আধুনিক গান গাইবার আবদার করে, কারণ রবীন্দ্রনাথের গান নাকি তেমন চলছেনা বাজারে। প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেবব্রত বিশ্বাস । হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ থেকে গান করাই বন্ধ করে দিলেন। 

অর্থের জন্য তিনি গান গাইতেন না, গান গাইতেন প্রাণের আনন্দে। রেকর্ড করা বন্ধ হলেও গান গাওয়াকেতো থামানো যায়না ! গনাট্য সঙ্ঘের হয়ে রবীন্দ্রগান, সলিল চৌধুরী, সুকান্ত, হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান নিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন গ্রামে গঞ্জে, মাঠে ময়দানে। ইতিমধ্যে দেশীয় দু একটি রেকর্ড কোম্পানীর পত্তন হয়েছে। ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ থেকে গান রেকর্ড করা বন্ধ হবার দশ বছর পর হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানীর মালিক চন্ডীচরণ সাহা তাঁকে রবীন্দ্র সঙ্গীত রেকর্ড করার অনুরোধ করেন ১৯৬০এ। পরের বিছর রবীন্দ্রনাথের জন্ম শতবর্ষ। দশ বছর রেকর্ড করা বন্ধ থাকার পর ১৯৬১তে হিন্দুস্থান রেকর্ডস থেকে তাঁর প্রথম গাঙ ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ এবং যেতে যেতে একলা পথে’ প্রকাশিত হল – প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠলো গান দুটি। বাঙালি যেন রবীন্দ্রগানকে নতুন করে আবিস্কার করলো। ১৯৬১তে রবীন্দ্র জন্ম শতবর্ষে রবীন্দ্রগানের মহাপ্লাবনে দেবব্রত বিশ্বাস উঠে গেলেন জনপ্রিয়তার উত্তুঙ্গ শিখরে। এবং কি আশ্চর্য ঠিক তখনই হয়তো তাঁর জনপ্রিয়তার কারণেই দেবব্রতকে থামিয়ে দেবার প্রয়াস আবারও গতি পেয়ে গেলো।

১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে বিশ্বভারতী সঙ্গীত সমিতি তাঁর চারটি গান রেকর্ড করার অনুমতি দিলনা, অভিযোগ, তাঁর গানে যন্ত্রসঙ্গীত ব্যবহারের আধিক্য। এরপর মাঝেমধ্যে দুএকটি গান অনুমোদন পেয়েছিল, কিন্তু আবার ১৯৬৯এ দুটি গানের অনুমোদন দিলনা। বিশ্বভারতী সঙ্গীত সমিতির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ পত্র বিনিময় হয়েছিল এই বিষয়ে। দুই বাংলার আগণিত সঙ্গীতপ্রেমী তীব্র প্রতিবাদ করলেন, তাঁকে রবীন্দ্রগান থেকে সরে না আসার জন্য কাতর প্রার্থনা জানালেন, কিন্তু রবীন্দ্রগানের প্রাতিষ্ঠানিক অচলায়তনের সঙ্গে কোন আপোষ করতে সম্মত হলেন না দেবব্রত।

মায়ের কোলে চড়ে যার রবীন্দ্রগান গাওয়া শুরু তিনি জীবনের শেষ দশটা বছর রবীন্দ্রনাথের গান–গাইলেননা-তাঁকে গাইতে দেওয়া হলো না। এই যন্ত্রণা তো আমাদের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, কিন্তু আমরা এই উপলব্ধিতে পৌছে যাই যে দেবব্রত বিশ্বাস শুধুমাত্র রবীন্দ্রগানের অতুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ছিলেননা, ছিলেন এক ঋজু মেরুদণ্ডের প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ঋষিতুল্য মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত