আন্তর্জাতিক নারী দিবস

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০১৭, ১৪:১২

সাহস ডেস্ক

সাম্যের গান গাই
আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। - কাজী নজরুল ইসলাম 

আজ ৮ মার্চ (বুধবার) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কিন্তু প্রতিদিনই হোক নারী দিবস। কারণ নারীর ছোঁয়া থাকে প্রতিটি দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। যদিও দিনটি নারীদের তাই সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপিত হবে। এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা/ বদলে যাবে বিশ্ব, কর্মে নতুন মাত্রা’।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। তাঁদের ওপরে দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। নানা ঘটনার পরে ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি নারী দিবস হিসেবে পালন করছে। তখন থেকেই বিভিন্ন দেশে নারীর সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে দিবসটি পালন শুরু হয়।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে তাঁরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, বর্তমান বিশ্বে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব; যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের অব্যাহত সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাঁর বাণীতে বলেন, নারীর অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার; কিন্তু বর্তমান বিশ্বের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতে নারী ও কন্যাশিশুদের অধিকার হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সমাবেশ। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বাতিল ও ডে কেয়ার প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে বিকেল পাঁচটায় মশাল মিছিল করবে নারী সংহতি। বিকেল চারটায় নিজ কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের আলোচনা সভা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত