রমজানে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রকাশ : ০২ জুন ২০১৭, ১৬:০৩

সাহস ডেস্ক

প্রত্যেক জুমার দিনই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র রমজানের জুমার দিন হওয়ায় এর ফজিলত আরও অনেকগুণ বেশি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, শপথ গ্রহ-নক্ষত্রের কক্ষপথবিশিষ্ট আকাশের। এবং প্রতিশ্রুত দিবসের। এবং সেই দিবসের যে উপস্থিত হয় এবং যাতে উপস্থিত হয়। (বুরুজ-১-৩) এ আয়াতে শাহিদ- যে দিবস উপস্থিত হয় বলে জুমার দিনকে বোঝানো হয়েছে। আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জুমার দিনের শপথ করছেন। সুতরাং এতেই জুমার দিনের গুরুত্ব বুঝে আসে।

কারণ গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়েরই শপথ করা হয়। বিভিন্ন হাদিস শরিফেও জুমার দিনের অনেক ফজিলত ও তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সূর্য উদিত হয় এমন সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এদিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। আবার এদিনেই তাকে তা থেকে বেরও করা হয়েছে।

জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (তিরমিজি) জুমার দিনে মৃত্যুবরণের বিশেষ ফজিলতও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে মুসলমান জুমার দিনে বা রাতে মারা যায় আল্লাহতায়ালা তাকে কবর আজাব থেকে রক্ষা করেন।

(তিরমিজি-১/১০৫) হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত- হজরত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে মুসলমান জুমার দিবসে বা রাতে মারা যায় তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেয়া হয় এবং কিয়ামত দিবসে সে শহীদের মোহর লাগানো অবস্থায় উপস্থিত হবে। (শরহুস সুদুর : ২০৯) হজরত আতা ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত- হজরত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, কোনো মুসলমান নর-নারী জুমার দিনে মৃত্যুবরণ করলে কবরের আজাব ও কবরের ফেৎনা থেকে মুক্তি পায়। এবং সে আল্লাহর সঙ্গে এমতাবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে তার কোনো হিসাব থাকবে না।

যেমন একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে মুসলমান রমজানে মৃত্যুবরণ করবে তার কবর আজাব হবে না। জুমার দিনে দোয়া কবুল হয় বলেও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আমর ইবনে আওফ আল মুযানী (রা.) থেকে বর্ণিত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত