শব-ই-কদর চেনার কয়েকটি উপায়

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৭, ১৭:৫৮

সাহস ডেস্ক

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শব-ই-কদর সন্ধান করো। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শব-ই-কদর সন্ধান করো। (সহিহ বোখারি) হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে কদরের রাতে দণ্ডায়মান হয়, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)

যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটি চেনার কিছু আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে। সেগুলো হলো-

* এ রাতটি রমজান অবশ্যই মাসে। আর এ রাতের ফজিলত কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে।

* এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ করো। (সহিহ বোখারি)

* আর এটি রমজানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ কর। (সহিহ বোখারি)

* এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে।’

* রমজানের ২৭তম রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এক. হাদিসে আছে, উবাই ইবনে কাব হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল (সা.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমজানের ২৭তম রাত। (সহিহ মুসলিম)

দুই. হজরত আবদুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭তম রজনীতে অনুসন্ধান করে। (আহমাদ)

তিন. কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হল ২৫তম তারিখ, তৃতীয় হল ২৯তম তারিখে, চতুর্থ হল ২১তম তারিখ। পঞ্চম হল ২৩তম রজনী।

চার. সর্বশেষ আরেকটি মত হলো- মহিমান্বিত এ রজনী স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধুমাত্র ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তার ইচ্ছায় কোনো বছর তা ২৫ তারিখে, কোনো বছর ২৩ তারিখে, কোনো বছর ২১ তারিখে, আবার কোনো বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।

*. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

*. নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

* মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

* সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

* কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

* ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

* সকালে হাল্কা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। (সহিহ ইবনু খুজাইমা : ২১৯০; বোখারি : ২০২১; মুসলিম : ৭৬২)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত