প্রশাসন ভবন ঘেরাও রাবি শিক্ষার্থীদের, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৯
![](https://sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2023/03/12/image-81254.jpg)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবন ঘেরাও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন। পরে প্রশাসন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় রাত ১২টা পর্যন্ত আমরা প্রক্টরকে দেখতে পাইনি। একজন প্রক্টরকে অনেক সাহসী হওয়া উচিত। মেরুদণ্ডহীন কোনো লোককে এসব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসা উচিত না। কালকে আমরা অভিভাবকহীনতায় ভুগেছি। আমাদের শরীর থেকে রক্ত ঝরছে, আর প্রক্টরের কোনো খোঁজ নাই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘প্রক্টরের কাজ কী? এমন দায়িত্বহীন প্রক্টরের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। সন্ধ্যায় কাপল ধরার জন্য আনাচে-কানাচে টর্চলাইট মারাই তার একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে!’
এদিকে, শনিবার রাত থেকে চলা সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুকে গ্রুপেও তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
এন. রুম্মান লিখেছেন, বর্তমান প্রক্টর একজন সুবিধাবাদী মানুষ। তিনি একজন অযোগ্য প্রক্টর। এই প্রক্টরের চেয়ারে জোহা স্যার বসতেন। যিনি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। সেই চেয়ারকে কলঙ্কিত করেছে বর্তমান প্রক্টর।
মোহসিনুল হক সৌরভ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এত বড় একটি সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো ছাত্র সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা অবধি প্রক্টরের নূরানী চেহারা দেখেনি। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যায়নি। প্রক্টরের অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
এদিকে, রাতে সংঘর্ষের পর সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে শুরু করেছেন। পরে সকালের দিকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিচার দাবি করে প্রশাসন ভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকেরও পদত্যাগ দাবি করেন।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সে ঘটনার প্রতিবাদে আমরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছি। এ ঘেরাও কর্মসূচি থেকে আমরা একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এখান থেকে বিক্ষোভ নিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবেন। একই দাবিতে বিক্ষোভ শেষে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।
এর আগে শনিবার বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস হেলপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিন শতাধিক আহতের খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে শতাধিক জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সাহস২৪.কম/এএম.