মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ

অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের মধ্যে ডুবল ট্রলার

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ১৫:১৮

Desk Report

বাগেরহাটের মোংলায় ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। রোববার (২৬ মে) সকালে মোংলা নদীর ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, তাদের মধ্যে কিছু যাত্রী উঠে গেলেও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নৌপুলিশ, ফায়ার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার ভোর থেকেই ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছে। যার অধিকাংশই ইপিজেডের 'ভিআইপি' নামক একটি কারখানার কর্মরত শ্রমিক। এদিন প্রত্যকটি ট্রলারে ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিল। ট্রলার চালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পার করছিলো। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ছুটে আসেন ডুবে যাওয়া ট্রলারে যাত্রীদের স্বজনরা। তারা এসময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল আদায়ের কাউন্টার ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, ঝড়ের মধ্যে কারখানায় যাওয়ার বিষয়ে ভিআইপির মিজান স্যার ফোন দিয়ে জোর করে তাদেরকে নিয়েছেন।

ঝড়ের মধ্যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কি করার আছে, বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

সাত নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যেও কারখানা খুলে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে, ভিআইপি কারখানার মানব সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পরই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাহলে সকালে কেন শ্রমিক পার হচ্ছিল? জানতে চাইলে তিনি বলেন 'আমি মিটিংয়ে আছি। আপনার যা লেখার লেখেন'।

 ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এটিতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল বলে শুনেছি। দুর্ঘটনার পর থেকেই খোঁজখবর রাখছি। যাত্রী নিখোঁজ আছে কিনা, সে বিষয়ে পৌরসভার সিসি ক্যামেরায় দেখা হচ্ছে এবং নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত