‘রাত ১০টার পর মাইক বাজানো যাবে না’
প্রকাশ : ৩১ মে ২০১৭, ১১:৫২
![](https://sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2017/05/31/image-22238.jpg)
কাগজে-কলমে নিয়ম চালু আছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু সেই নিয়ম-বিধির তোয়াক্কা না করেই রাতবিরেতে যথেচ্ছ মাইক বাজানো হয়। এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাত ১০টার পরে খোলা জায়গায় মাইক বাজিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।
মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক সভায় এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। এই ক্ষেত্রেও পুলিশের দায়সারা কাজকর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, অনুষ্ঠান করার জন্য আবেদন এলে পুলিশ তো এখন আবেদনপত্রের ওপর নাম-কা-ওয়াস্তে একটা সই করেই দায় সারে! আর এ-সব চলবে না। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে বলে পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শব্দের দাপটে বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে। উৎসবে তো বটেই। উৎসব না-থাকলেও তারস্বরে মাইক বাজিয়ে রাতভর হুল্লোড় চলে অনেক মহল্লায়। তাতে শুধু যে ঘুম নষ্ট বা পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, তা নয়। প্রাণহানিও ঘটছে। এ সব চলতে পারে না বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখন একটা নতুন যন্ত্রণা হয়েছে ডিজে (বড় সাউন্ড বক্স ব্যবহার)। ডিজে ব্যবহার করা চলবে না। যার ইচ্ছে হবে, বাড়িতে বসে দরজা-জানলা বন্ধ করে চালাক। অন্যের কেন অসুবিধা হবে?' তাঁর মন্তব্য, কিছু লোক মাইক বাজিয়ে আনন্দ করবে আর অন্যেরা তার জন্য ঘুমোতে পারবে না- এটা আর চলবে না। বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে রাত ১০টার পরে মাইক বাজাতে গেলে বক্স ব্যবহার করতে হবে।
মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ বারবার অভিযোগ করছে। সেই অভিযোগের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত পরিবেশসচিবকে বলেন, 'শব্দদূষণের বিধিগুলি কী, তা সর্বসমক্ষে জানান। ' পরিবেশসচিব জানান, রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী তার পরই ডিজিকে বলেন, 'এই বিধি যাতে ঠিকঠাক মানা হয়, সেটা পুলিশকেই দেখতে হবে। '
ডিজির প্রশ্ন, শব্দের মাত্রা কত, তা মাপার কোনো ব্যবস্থা পুলিশের হাতে নেই। কোনটা মাত্রাছাড়া শব্দ আর কোনটা নয়, পুলিশ তা মাপবে কী করে? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যারা বিধি ভাঙবে, তারাই ওই যন্ত্রের ব্যবস্থা করবে। পরিবেশ বিধিতে শব্দের মাত্রা যা রয়েছে, তা মানতেই হবে। '
সূত্র : আনন্দবাজার