‘সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করছে সরকার’
প্রকাশ : ০৩ মে ২০১৮, ১৪:৩১
![](https://sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2018/05/03/image-34954.jpg)
সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এজন্য শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। মেধাবীরা যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ মে) ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৮ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়াশুনা এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। শতকরা ৯৮ ভাগ শিশু এখন স্কুলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের উৎসাহিত করতে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ২০১৩ সাল থেকে চালু করা হয়েছে। মেধাবীরা যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
নাহিদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সৃজনশীল মেধাবী নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি কাজের উপযোগী দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে। একই সাথে আমরা ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি শুধু আমদানি নয়, রপ্তানি করতে হবে। তিনি সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান এবং মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার সদস্য সচিব ড. মো.আব্দুল মালেক বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৮ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগ ও ঢাকা মহানগরী থেকে উত্তীর্ণ ১০৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে। এই ১০৮ জনের মধ্যে ৪টি বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে ১২ জন সেরা মেধাবী নির্বাচন করা হবে।