এ দেখাই শেষ দেখা

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০১৭, ১৪:১৫

সাহস ডেস্ক

প্রশ্ন হল, উলভারিন নাকি হিউ জ্যাকম্যান? নাকি এমন এক সুপারহিরো, যে আসলে আমার-আপনার মতোই কাঁদে। ‘সুপার’ তকমাটা যার কপালে জুটে গিয়েছে বেমালুম। ভীষণ রকম মিউট্যান্ট হয়েও যে আদ্যোপান্ত মানুষ। এক্স-ম্যান সিরিজের আর কোনও চরিত্রের এমন নির্মাণ করতে পারেননি নির্মাতারা। সেটা কৃতিত্ব না গাফিলতি, নাকি সচেতনভাবেই একটু ‘বায়াস্‌ড’ চরিত্রনির্মাণ বলা মুশকিল। না হলে একটা চরিত্র শেষবারের মতো দেখা দেবে, তাতে সারা বিশ্ব চোখের জল ফেলবে কেন? কেন মনে হবে, ইশ! আর তো তোমায় দেখতে পাব না উলভারিন? উল্টোদিকে, কেন আমরা, উলভারিন ভক্তরা দীর্ঘশ্বাস ফেলব হিউ জ্যাকম্যানের কথা ভেবে? যে লোকটা না অভিনয় করলে এই নখরশোভিত সাধারণ এক মিউট্যান্ট এত কাছের হয়ে উঠত না।

ফ্লপ থেকে বেরিয়ে
এক্স-ম্যান সিরিজ থেকে বেরিয়ে শুরু হল ‘উলভারিন’। স্পিন-অফ। শুরু থেকেই হিট ছিল না সিরিজটা। ২০০৯’এ তৈরি হল ‘এক্স-ম্যান অরিজিনস: উলভারিন’। ২০০০ সালে যদিও ‘এক্স-ম্যান’ ছবিতে উলভারিন মুখ দেখিয়ে ফেলেছে। উনিশ শতকে কানাডায় বড় হওয়া জেমস হাউলেট কীভাবে উলভারিন হয়ে উঠল, সেই গল্প খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি। এর পর ২০১৩’য় এল ‘দ্য উলভারিন’। জাপানে উলভারিন। কিন্তু এখানেও সেই একই সমস্যা। ভক্তদের পছন্দ হল না। অথচ হিউ জ্যাকম্যান নিজের সেরা পারফরম্যান্সগুলো দিয়ে যাচ্ছিলেন।

কমিক বুকের বাইরে
এবার তাই কমিক বুক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন নির্মাতারা। সীমান্তে অসুস্থ প্রফেসর জেভিয়ারকে নিয়ে বুড়ো উলভারিন দিন কাটায়। সে ভাবে পৃথিবীতে আর কোনও মিউট্যান্ট অবশিষ্ট নেই। তখনই কেমন যেন মাটি ফুঁড়ে বেরোয় এক্স-২৩। উলভারিনের জিন থেকে তৈরি এক মেয়ে।

ক’এ ক্লজ
বয়েড হলব্রুক আবার ‘লোগান’এ হিউ জ্যাকম্যানের বিপরীতে। ‘নার্কোস’এর মতো জনপ্রিয় শো করেছেন বয়েড। এক্স-২৩’কে খোঁজার দায়িত্ব তাঁরই উপর। বয়েডের করা পিয়ার্স চরিত্রটাকে নিয়েও উলভারিন ভক্তদের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত নেই। 

অন্য উলভারিন
এক্স-ম্যানদের কাছে উলভারিন আসলে একটা ‘ওয়েপন’। মানুষ নয়, অস্ত্র। যেটা নষ্ট হয় না। কিন্তু এখানেই ‘লোগান’ আলাদা। আপাদমস্তক মানবিক। প্রফেসর জেভিয়ারও তাই। তারা নিজের মেয়ের মতো ভালবেসে ফেলে এক্স-২৩’কে। তাই ছবি জুড়ে একটা দ্বন্দ্ব আলাদা মাত্রা দিয়েছে।

অমরত্ব সত্যিই অভিশাপ?
হিউ জ্যাকম্যান প্রযোজক ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স’কে বছরের পর বছর ধরে সুপারহিরোর একটা অন্যধারার প্রোটোটাইপ জুগিয়ে গিয়েছেন। তার বদলে তো কিছু একটা পাওনা ছিলই হিউয়ের। শেষমেশ এমন একটা ছবি হিউ পেলেন, যেটা নিতান্তই তাঁর। দেখা যাক, উলভারিনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয় কি না— ‘ইটারনিটি ক্যান বি আ কার্স’। অমর তো হিউ জ্যাকম্যান হয়েই গিয়েছেন। উলভারিনও। অপেক্ষা রইল, কেউ যদি হাল ধরেন! আবার যদি উদাসীন, বেপরোয়া এক সুপারহিরো ফিরে আসে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত