এক গান মিলিয়ে দিল দুজনকে

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০১৭, ১৩:৩৪

সাহস ডেস্ক

প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে পেরোতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। ভীষণ বন্ধুর ছিল সেই পথ। কেননা দুজন ছিলেন দুই ধর্মের।
২০০১ সালে রিয়াদ মাহমুদ ও সোমা ম্রং শ্যাম স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। একজন বিবিএ, অন্যজন ইংরেজি সাহিত্যে। দুজনেই ভালো বন্ধু। কিন্তু ভালোবাসার কথা কেউ কাউকে বলতে পারছিলেন না।

সে সময় বেরোল ভাইকিংস ব্যান্ডের অ্যালবাম ভালোবাসি যারে। ভালোবাসা দিবসের আগের দিন বান্ধবীকে সেটি উপহার দেন রিয়াদ। ভালোবাসা দিবসের সেই রাতে দুজনের ফোনে অনেক কথা হয়, শুধু বলা হয় না ভালোবাসার কথা। কিন্তু অজান্তেই ঘটে যায় একটি মিষ্টি ঘটনা। হঠাৎ করেই ‘ভালোবাসি যারে’ গানটির প্রথম কলি গেয়ে ওঠেন রিয়াদ। পরের কলি সোমা। পরোক্ষভাবে বার্তা পৌঁছে যায় দুজনের কাছে। গতকাল ২৯ মার্চ (বুধবার) দুপুরে গল্পটি বলেন রিয়াদ।

‘গানটি প্রকাশিত না হলে হয়তো আজও ভালোবাসার কথাটা জানানোই হতো না। গানটি আমাদের প্রেম-পরিণয় ও বিয়ের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে’, বলেন রিয়াদ। তিনি মুসলমান ও সোমা ছিলেন খ্রিষ্টান। পরে সোমা হয়ে যান রাইসা। শুরুতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক এবং বিয়ে দুই পরিবারের কেউই সহজে মেনে নিতে চাননি।

অনেক চড়াই-উতরাই পেরোনো দুজন মানুষের নতুন জীবন শুরুর খবর শুনে ভীষণ আনন্দিত গানের দল ভাইকিংস। এই দলের অন্যতম সদস্য তন্ময় তানসেন বলেন, ‘ছেলেটা একটা রেফারেন্সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ১৫ বছর আগে আমাদের গান দিয়ে তাঁদের প্রেম। এটা শুনেই আমার গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গেছে। বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় প্রিয় গানের দলকে আমন্ত্রণ করতে চান তাঁরা। এতে অনেক সম্মানিত বোধ করেছি। আমরা ভীষণ রোমাঞ্চিত।’

‘ভালোবাসি যারে’ গানের কথাগুলো লেখা ও গানের কণ্ঠ ভাইকিংস ব্যান্ডের মূল কণ্ঠশিল্পী তন্ময়ের। সহশিল্পী ছিলেন কানিজ সুবর্ণা। যৌথভাবে সুর করেছিলেন তন্ময় ও সেতু চৌধুরী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত