শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৫
![](https://sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2023/02/14/image-80842.jpg)
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ৩৩তম বছরে পদার্পণ করেছে সিলেটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এরপর সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখ থেকে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে মুক্তমঞ্চে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও ত্যাগের ফলেই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ অঞ্চলের জনগণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে।
উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে এ অঞ্চলের সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। এ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়েও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আগামীতে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সেরা হতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই ঐক্যভাবে কাজ করলে আমরা আরও এগিয়ে যাবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হাকিমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সিলেট শহরের পাঁচ কিলোমিটার দূরে আখালিয়ায় ৩২০ একর ভূমিতে ১৯৯১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি (১লা ফাল্গুন) মাত্র তিনটি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯৯১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ইংরেজি ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং বাংলা পহেলা ফাল্গুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হতো। কিন্তু বর্ষপঞ্জির নতুন নিয়মে পহেলা ফাল্গুন ১৩ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় বিগত চার বছর ধরে এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অনুষদের অধীনে ২৮টি বিভাগ ও দুইটি ইন্সটিটিউট রয়েছে। যেখানে ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ১১টি কলেজ রয়েছে।
সাহস২৪.কম/এএম.