কতটা বিপদজনক যাত্রীর জন্য?
ফ্লাইট টার্বুলেন্স কী এবং কেন ঘটে?
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ১৭:৫৭
![](/assets/news_photos/2024/05/22/image-89729-1716379490sahosh.jpg)
বিমানে যে সকল যাত্রীরা সচরাচর যাতায়াত করেন তাদের কাছে হঠাৎ ঝাঁকুনির মতো পরিস্থিতি পরিচিত। মূলত বিমান টার্বুলেন্সের মুখোমুখি হলে এমনটা হয়ে থাকে। এটি বিমানের গতিবিধি ও উচ্চতায় আকস্মিক পরিবর্তন আনে।
আরেকটি ভিন্ন ধরনের টার্বুলেন্স রয়েছে যাকে 'ক্লিয়ার এয়ার টার্বুলেন্স' বলে। যেটি মেঘের উপস্থিতি ছাড়াই তৈরি হতে পারে। শনাক্ত করা কঠিন বলে এটি বেশ বিপজ্জনক।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইটে গুরুতর টার্বুলেন্সের ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। এতে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিমানটি চলাচলের সময় আকস্মিকভাবে গতিবিধিতে ছন্দপতন হয়। এতে তীব্র ঝাঁকুনিতে ছিটকে যায় কেবিনে থাকা যাত্রী ও অন্যান্য জিনিসপত্র। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করা হয় ব্যাংককে।
এভিয়েশন অ্যাকাডেমিক ও কমার্শিয়াল পাইলট গাই গ্র্যাটন বলেন, "এই ধরনের টার্বুলেন্স জেট স্ট্রিমিংয়ের আশেপাশে ঘটে। দ্রুতগতিতে প্রবাহিত বাতাসের এই স্রোত সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ হাজার ফুট উচ্চতায় পাওয়া যায়।"
গাই গ্র্যাটন আরও বলেন, "আপনি সহজেই জেট স্ট্রিমের বাতাস এবং আশেপাশের বাতাসের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মিটারের গতির পার্থক্য পাবেন। ধীর ও দ্রুত প্রবাহিত বাতাসের মধ্যে জেট স্ট্রিমের চারপাশে ঘর্ষণ টার্বুলেন্স সৃষ্টি করে। এটি একেক দিকে চলে যায়, যা এড়ানো কঠিন হয়ে যায়।"
জন স্ট্রিকল্যান্ড নামের এক অ্যাভিয়েশন এক্সপার্ট জানান, লাখ লাখ ফ্লাইটের বিপরীতে গুরুতর টার্বুলেন্স থেকে মৃত্যুর ঘটনা ‘তুলনামূলকভাবে বিরল’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড জানায়, ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ইউএসভিত্তিক এয়ারলাইনগুলিতে ১৬৩টি ‘গুরুতর টার্বুলেন্স’ আঘাত হেনেছে। যা প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১২টি।