নাস্তায় বিস্কুট নয়, মুড়ি খান

প্রকাশ : ১০ মে ২০১৭, ১৬:২৫

সাহস ডেস্ক

দৈনিক সকালের নাস্তা বা বিকালের স্ন্যাকসে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট একটা অংশ হয়ে উঠেছে। এই দুইটি খাবার যেন একে অপরের ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু বাসা নয়, অফিসের মিটিং কিংবা বন্ধুর পার্টিতে বিস্কুট থাকা চাই। 

সম্প্রতি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশি বিস্কুট খেলে মোটা হওয়া থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে। তাহলে উপায়? বদলাতে হবে চায়ের সঙ্গে টায়ের সংজ্ঞা। বিস্কুটের বদলে মুড়ি খান। এতে প্রচুর উপকার। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে এই মুড়ি।

১ কাপ অর্থাৎ ১৪ গ্রাম মুড়িতে ৫৬ ক্যালরি রয়েছে। এছাড়া এতে কার্বোহাইড্রেটস ১২.৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম, ফাইবার ০.২ গ্রাম, পটাশিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪.৪৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৪ মিলিগ্রাম, থিয়ামাইন ০.৩৬ মিলিগ্রাম এবং নিয়াসিন ৪.৯৪ মিলিগ্রাম রয়েছে।

অন্যদিকে বিস্কুট মানেই ময়দা। এতে ট্রান্স ফ্যাটের আধিক্য থাকায় তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে ওজনও বেড়ে যায়। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয় মুড়ি।  

চিকিৎসকরা বলছেন, বিস্কুটে মিষ্টির পরিমাণ প্রচুর। রোজ চায়ের সঙ্গে টা মানে যদি বিস্কুট হয়, তাহলে ওবেসিটি নিশ্চিত। এটি হঠাৎ শরীরের ব্লাড সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। আবার নিয়মিত বিস্কুট খাওয়ার কারণে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। এছাড়া চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে দাঁতের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

তারা আরও বলেন, কম ক্যালরির পেট ভরানোর খাবার মানেই মুড়ি। যাদের বার বার খিদে পায়, অথচ দিনের বেশিরভাগ সময়টা অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করতে হয়। তাদের জন্য লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে বিকাল বা সন্ধ্যের দিকে মুড়ি হতে পারে আদর্শ খাবার।

মুড়ি খাওয়ার আরও নানা উপকারিতার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। এগুলো হলো-

ওজন কমাতে সাহায্য করে মুড়ি।

সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকায় ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণ থাকে।

মুড়ি অনেকটা জল টেনে নেয় বলে পেটও ভরে থাকে দীর্ঘক্ষণ।

পেটের গোলমালে শুকনো মুড়ি বা জলে ভেজা মুড়ি খেলেও উপকার পাওয়া যায়।  

মুড়িতে ভিটামিন বি ও মিনারেল প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত মুড়ি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমিয়ে আনে মুড়ি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত