ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে টক দইয়ের ফেসপ্যাক

ছবি: সংগৃহীত

টক দই স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা আমরা সবারই জানি। তবে দই যে শুধুমাত্র শরীরেরই উপকার করে তা নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও দই ব্যবহার করা যায়। ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে টক দই।

দইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। কোন ধরনের ত্বকের জন্য কী ভাবে টক দই ব্যবহার করা যেতে পারে তা জানানো হয়েছে ‘বোল্ড স্কাই’য়ের এক প্রতিবেদনে।

দই এবং মুলতানি মাটি: যাদের ত্বক তৈলাক্ত এবং সংবেদনশীল, তাদের জন্য এই ফেসপ্যাকটি খুব উপকারী। সম পরিমাণ টক দই এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখুন। পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটি ত্বকের মরা চামড়া অপসারণ করে ত্বক মসৃণ করে তোলে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরায়।

দই এবং বেসন: তৈলাক্ত এবং নর্মাল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই ফেস প্যাক। এক টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরায়।

দই এবং হলুদ: দই এবং হলুদের এই ফেসপ্যাক সব ধরনের ত্বকের জন্যই ভালো। আধা চা চামচ হলুদ পরিমাণমতো টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এই ফেসপ্যাক ত্বক পরিষ্কার করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

দই এবং মধু: এই ফেসপ্যাক নর্মাল এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযুক্ত। এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধুতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং এবং থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য। এই ফেসপ্যাক ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে, পাশাপাশি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে।

দই এবং শসা: এই ফেসপ্যাকটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযুক্ত। শসার রসের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন খানিকক্ষণ। পরে ফেসিয়াল মাস্কের মতো শুকাতে দিন। ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দই-শসার এই প্যাকটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বকের জ্বালাপোড়া, লালচেভাব কমায়। এমনকি ত্বকের ট্যান হালকা করতেও সাহায্য করে।