কম বয়সে চুল পাকা কমাতে যা খাবেন

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

সাদা চুল আড়াল করতে নানারকম রাসায়নিক রংও ব্যবহার করেন। তাতে বিপরীত হয়। চুলের ধূসরতা দূর করতে কয়েকটি খাবার খান নিয়ম করে।

বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আধুনিক জীবনযাত্রায় বিভিন্ন কারণে কম বয়সেই দু-একটা সাদা চুল চোখে পড়ে। মানসিক চাপ, শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি, থাইরয়েড, বংশগত কারণে চুল পাকতে শুরু করে। সাদা চুল নিয়ে মানসিক ভাবেও ভোগেন অনেকেই। সাদা চুল আড়াল করতে নানারকম রাসায়নিক রংও ব্যবহার করেন। আর তাতে চুলের ক্ষতি হয়। এই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধন ব্যবহার না করে বরং কয়েকটি নিয়মিত খাবারে আপনার চুল পাকা থামাতে পরে।

শাক: নিয়মিত শাক, মেথি, মটরশুঁটি চুল পাকতে বাধা দেয়। আর শাকে আছে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড, যা শরীরে মেলানিনের অভাব দূর করে।

ডিমের কুসুম: চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন বি১২। অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চুল পাকা রোধে ডিমের কুসুম হতে পারে ভালো সমাধান।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুধের তৈরি যেকোনো খাবার, যেমন ছানা, পায়েস কিংবা এক গ্লাস খাঁটি দুধ কমিয়ে দিতে পারে আপনার চুল পাকার আশঙ্কা। দুধে থাকা ভিটামিনগুলো চুল যেমন শক্ত করে, তেমনি পাকার হাত থেকে সুরক্ষাও দেয়।

জিংকসমৃদ্ধ খাবার: প্রকৃতিতে পাওয়া জিংকসমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিষয় করে কুমড়া, তরমুজ–জাতীয় খাবারে প্রচুর জিংক থাকে। চুল কালো রাখতে বেশ উপকারী জিংকসমৃদ্ধ খাবার।

কপারসমৃদ্ধ খাবার: সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছ, তিল, গম, গরু ও খাসির মাংসে আছে প্রচুর পরিমাণে কপার। এই কপার শরীরের মেলানিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই অকালে চুল পাকা রোধ করতে কপারসমৃদ্ধ খাবার খান।

কালো তিল: চুল কালো রাখতে কালো তিল বেশ উপকারী। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এক চামচ কালো তিল খেলে মিলবে সুফল।

বাদাম: নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদামের তেল চুলে মাখলেও উপকার পাবেন।

দুশ্চিন্তা কম করুন- অসময়ে চুল পাকার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে দুশ্চিন্তা। তাই চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার। বাড়তি চাপ যতটা এড়ানো যায়, ততই মঙ্গল। মনে রাখবেন, যত বেশি চাপ নেবেন, তত বাড়বে চুল পাকার আশঙ্কা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত