শখ থেকেই সফল উদ্যোক্তা আখি
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৭, ১৮:২৬
![](https://sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2017/07/19/image-24215.jpg)
১৯৯৯ সালের কথা। মাত্র আড়াই হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শখের বসে ঘরে বসেই নিজ হাতে নানারকম নকশার সালোয়ার-কামিজ সেলাই করতে লাগলেন ফারজানা আঁখি। বাজার থেকে শাড়ি কিনে তাতে হাতের কাজ করতেন। হাতের কাজে পোশাকে নতুন বৈচিত্র্য যোগ হতো, যা ক্রেতাদের প্রশংসা কুড়াতে শুরু করলো। একবার যারা তার পোশাক কিনেছেন, তারা আরো আগ্রহী হয়েছেন।
ক্রেতাদের প্রশংসা তার মনোবল আরো বাড়িয়ে দেয়। সময়ের সাথে বাড়তে থাকে পোশাকের অর্ডার। কিন্তু পুঁজি না থাকায় আটকে যান। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। বন্ধুদের সহযোগিতায় একটু একটু করে এগোতে থাকেন। অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে পরিচিতি। এরই মধ্যে বাটিক ও নকশার কাজ করা সালোয়ার-কামিজ, থ্রি পিস, শাড়ি, বিছানার চাদর, কুশন কভার, শাল চাদরের ব্যাপক চাহিদা বাড়তে লাগল। তখন একটি দোকানের চিন্তা মাথায় আসে।
কিন্তু পুঁজির সংকটে আটকে যান। ফলে ব্যাংকের দারস্থ হন। সেখানে থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি দোকান নেন। এরপর তাকে আর পেছন তাকাতে হয়নি। দ্রুত বদলে যায় তার জীবন।
আঁখি বলেন, আমি যখন শুরু করি তখন রাজধানীতে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তবে এখন দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। যা নতুন কোনো উদ্যোক্তাকে প্রেরণা যোগাচ্ছে। ব্যবসার পাশাপাশি সংসারের দেখভাল করতে হয়েছে। ফলে অবসর বলে কিছু ছিল না। নিজেই নিজের দোকানে বসেছেন। পণ্য বেচা-কেনা করেছেন। তিনি বলেন, একজন নারী হয়ে দোকানে বসে ক্রেতা সামলানোর বিষয়টি তখন অনেকেই ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু পরিবারের উত্সাহ পেয়েছি। তবে শূন্য থেকে আজকের এই অবস্থান পৌঁছাতে ক্রেতাদের ভালোবাসা পেয়েছি।
আঁখির মতে, ব্যবসা মেয়েদের জন্য খুব কঠিন এমনটি কখনো মনে হয়নি। চেষ্টা থাকলে যেকোনো নারীই ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারেন। আমার পরিচিত কোনো মেয়ে যখন চাকরি করার কথা বলেন, আমি তাদের উত্সাহ দিই ব্যবসা করার জন্য। কারণ আমাদের একটাই লক্ষ্য, চাকরি করব না, চাকরি দেব। তার মতে, কেউ যদি শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করে, সাফল্য তার মুঠোবন্দি হতে বাধ্য।